নিজস্ব প্রতিবেদক:- গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পৈতৃক জমির বিবাদ নিয়ে ভাতিজার লাঠির আঘাতে আহত চাচা পরিমল বৈরাগীর মৃত্যু হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) ভোর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন আবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত পরিমল বৈরাগী (৫০) নারায়ণখানা গ্রামের মৃত দেবেন বৈরাগীর ছেলে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কোটালীপাড়া উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের নারায়ণখানা গ্রামে ভাতিজা আশিষ বৈরাগী তার চাচা পরিমল বৈরাগীকে লাঠি দিয়ে সজোরে মাথায় আঘাত করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণখানা গ্রামের রাজেন বৈরাগীর সাথে তার আপন ভাই পরিমল বৈরাগীর দীর্ঘদিন ধরে পৈতৃক জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজেন বৈরাগীর ছেলে আশিষ বৈরাগী বাবু (৩৩) বিরোধপূর্ণ জমিতে কাজ করতে গেলে চাচা পরিমল বৈরাগী বাধা দেয়। এ সময় আশিষ বৈরাগী বাবুর সাথে তার চাচা পরিমল বৈরাগীর বাক বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে আশিষ বৈরাগী বাবু লাঠি দিয়ে তার চাচা পরিমল বৈরাগীর মাথায় আঘাত করে। লাঠির আঘাতে পরিমল বৈরাগী গুরুতর আহত হন।
পরে পরিমল বৈরাগীকে তার পরিবারের লোকজন প্রথমে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটে। চিকিৎসকদের পরামর্শে পরিমল বৈরাগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার ভোর রাত ৩টার দিকে পরিমল বৈরাগীর মৃত্যু হয়।
এদিকে, পরিমল বৈরাগীর মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আশিষ বৈরাগী বাবু ও তার পরিবারের সদস্যরা ভোরেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে হত্যাকারী আশিষকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।